বিদেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে কোন সাবজেক্টটা ভালো হবে, কোন সাবজেক্টটা পড়লে আমি আমার ক্যারিয়ার গোল এচিভ করতে পারবো এই বিষয়ে আমাদের অনেকেরই qqঅনেক প্রশ্ন থাকে।
আপনি যদি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে বাহিরে পড়াশোনা করতে যান সেক্ষেত্রে আপনার হাতে অনেকগুলো অপশন খোলা আছে এবং আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দনীয় কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। আপনি চাইলে বিবিএ পড়তে পারেন, চাইলে ইন্জিনিয়ারিং পড়তে পারেন, এমনকি ডাক্তারিও পড়তে পারেন। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে আসলে সকল রাস্তাই খোলা থাকে।
আপনি যদি মাস্টার্স এর জন্য বাহিরে পড়াশোনা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি যেই বিষয়ে ব্যাচেলর শেষ করেছেন সেই বিষয়ে মাস্টার্স করতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে ভিন্ন কোনো সাবজেক্টেও মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে পারবেন। যেমন: অনেকেই ইন্জিনিয়ারিং পড়ে সেলস বা মার্কেটিং এর উপরে এমবিএ করে।
তবে বেশিরভাগ স্টুডেন্ট যে বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি গ্রহণ করেছে সেই বিষয়ের কোনো একটি সাব টপিকে কিংবা সেই বিষয়ের উপর মাস্টার্স সম্পন্ন করে।
সাবজেক্ট নির্বাচনের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ইচ্ছে কিংবা প্যাশনের উপর। আপনার যেই সাবজেক্ট ভালোলাগে সেই বিষয়টির নিয়ে পড়াশোনা করলে আপনার কাছে পড়াশোনাটাকে উপভোগ্য মনে হবে।
এছাড়া, আপনি আপনার ক্যারিয়ার টাকে কোন দিকে নিতে চান সে বিষয়ের উপরও আপনার সাবজেক্ট চয়েজ নির্ভর করে। আপনি যদি চাকুরি করতে চান তাহলে যে ফিল্ডে চাকুরি করতে চান সে বিষয়ের উপর পড়াশোনা করতে পারেন। যেমন: আপনি যদি সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হতে চান সেক্ষেত্রে আপনি CSE, সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে পারেন। আবার আপনি যদি ব্যাংকে চাকুরী করতে চান সেক্ষেত্রে একাউন্টিং বা ফাইনান্স নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।
আর আপনি যদি ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি বিজনেস সেক্টরের টপিকগুলো কিংবা এন্ট্রপ্রেনারশিপের উপর পড়াশোনা করতে পারেন।
আমরা যেহেতু বাংলাদেশী স্টুডেন্ট, সুতরাং পরিবারের যে বিশাল একটা ভুমিকা থাকে সাবজেক্ট সিলেকশনের ক্ষেত্রে সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বেশিরভাগ বাবা-মায়ের ইচ্ছে থাকে আমার ছেলে ডাক্তারি পড়বে, ল পড়বে বা ইন্জিনিয়ারিং পড়বে এ ধরণের। সুতরাং তাদের ইচ্ছে এবং পরামর্শগুলো সাবজেক্ট পছন্দ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাছাড়াও অনেকসময় আমরা বন্ধুবান্ধবের ইনফ্লুয়েন্সে সাবজেক্ট সিলেক্ট করি। এমন অনেকসময় হয়ে থাকে, “আমার বন্ধুরা এই সকবজেক্টে পড়াশোনা করছে এবং আমি পড়াশোনা করলে আমি ওর থেকে সাহায্য পেতে পারি” এর উপর ভিত্তি করে অনেকসময় সাবজেক্ট চয়েজ করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও সাবজেক্ট চয়েজের ক্ষেত্রে কোন সাবজেক্টের চাহিদা বেশি, আমি যেই বিষয়ে পড়বো সেটি দেশীয় চাকরি বাজারে ভালো হবে কি না, কী পড়লে সহজেই পেশাগত উন্নতি ও লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব, আপনি যেই দেশে পড়তে যেতে আগ্রহী সেই দেশে আপনার পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষার মান বা পদ্ধতি বিশ্বে কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা কতটুকু সময়োপযোগী, ভবিষ্যতের পেশাগত জীবন কেমন হবে এই বিষয়টি নিয়ে পড়লে, এই বিষয়ে পড়াশোনা শেষে কোথায় কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা যাবে, সেখানকার সুযোগ-সুবিধা, সম্ভাবনা ও অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতার মাত্রা কতটুকু আছে, আপনার বর্তমান যোগ্যতার সাপেক্ষে কোন কোর্সটি আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী, এই কোর্সের কোনো বিকল্প কোর্স আছে কি না, কোর্সটির মেয়াদ ও টিউশন ফি কত, মূলত এসব বিষয় গুলো নিয়ে ভেবে চিন্তে সাবজেক্ট পছন্দ করতে হবে।
তাছাড়া সাবজেক্ট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে পরামর্শের জন্য আপনি উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য ও পরামর্শকেন্দ্রের সঙ্গে অথবা ওই কোর্সে পড়াশোনা করেছেন বা করছেন এমন কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিচয় থাকলে আগে থেকেই আলাপ করে নিতে পারেন। কিংবা অনলাইনে সাবজেক্টের রিভিউ চেক করে নিতে পারেন। এতে বিষয় সিলেক্ট করতে আপনার জন্য সুবিধা হবে।
তবে, সবকিছু মিলিয়ে যে সাবজেক্টটা আমাদের পছন্দ হয়, আমরা সেই সাবজেক্টটাকে সিলেক্ট করবো। এরপর সেই সাবজেক্ট নিয়ে আরো রিসার্চ করে দেখবো এটার উপর কি কি জব ফিল্ড আছে, কি ধরণের সুযোগ সুবিধা আছে সবকিছু। তারপর আমরা ফাইনালি সেই বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করবো।