বিদেশে পড়াশোনা করতে গেলে বেশিরভাগ স্টুডেন্টদের ইচ্ছে থাকে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করার। অনেকেই জানেন না কি ধরণের পার্টটাইম জবগুলো আসলে করা যায়। তবে একেক দেশের স্টুডেন্টরা একেক ধরণের কাজ করতে পারে। আবার কোনো কোনো দেশের স্টুডেন্টদের পার্টটাইম কাজ করার অনুমোদন থাকে না।
তবে স্টুডেন্ট অবস্থায় পার্টটাইম জব করলে পড়াশোনার পাশাপাশি সময়টাকে প্রোডাক্টিভ কাজে ব্যায় করা যায়। তাছাড়া নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজের হাতখরচের পাশাপাশি টিউশন ফি টাও ম্যানেজ হয়ে যায়। তাছাড়া আপনাদের অভিজ্ঞতাও বাড়বে যা আপনাদের সিভিকে স্ট্রং করে তুলবে। এছাড়াো পার্টটাইম জব আপনাকে পরিশ্রমী করে তুলবে।
নিম্নে যে ধরণের কাজ করা যায় তা সম্পর্কে বর্ননা করা হলো:
১. বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম জবের ব্যবস্থা থাকে। যেমন: টিচারের এসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করা, লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কাজ করা, হোস্টেল কো ওরডিনেটর সহ বিভিন্ন ধরণের কাজ স্টুডেন্টরা করতে পারবে।
২. আপনার যদি আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স করা থাকে এবং আপনি যদি ড্রাইভিং পারেন তবে আপনি বিদেশে গিয়ে পার্টটাইম ড্রাইভিং করতে পারবেন।
৩. বিভিন্ন ধরণের শপে সেলস এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
৪. ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
৫. ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট গুলোতে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন
৬. একাউন্টিং রিলেটেড বিভিন্ন জব করতে পারে।
৭. কম্পিউটার জানা থাকলে কিংবা ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে ধারণা থাকলে ঘরে বসে কাজ করতে পারবে।
৮. বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারবে।
৯. বিভিন্ন কোম্পানি, দোকান, শপিংমল, হোটেল কিংবা হাসপাতালে রিসিপশনিস্ট হিসেবে পার্টটাইম জব করা যায়
১০. অনেকে টিউশন পড়াতে পারেন
১১. যাদের জিম বা ফিটনেস সম্পর্কে নলেজ আছে তারা পার্সোনাল ট্রেইনার হিসেবে কাজ করতে পারবে।
১২. কাস্টমার কেয়ার রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কাজ করতে পারবে।
১৩. আপনার ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি পার্টটাইম ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।
১৪. বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্মে চাকুরি করতে পারবেন।
১৫. আপনার রান্নাবান্নায় দক্ষতা থাকলে আপনি কুকিং সেক্টরেও কাজ করতে পারেন।
১৬. কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
১৭. বিভিন্ন কোম্পানির ব্রান্ড এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করা যায়।
১৮. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে কাজ করতে পারবেন।
বিদেশে পার্টটাইম চাকুরি করার জন্য যে যে যোগ্যতা থাকা আবশ্যক:
১. ইংরেজি ভাষা সহ যে দেশে পড়াশোনা করতে যাবেন সে দেশের ভাষার উপর ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।
২. সময়ের কাজ সময়ে করার মত মানসিকতা থাকতে হবে।
৩. কমিউনিকেশন স্কিল ভালো থাকতে হবে। মানুষকে কোনো কিছু বোঝানোর ক্ষমতা থাকতে হবে।
৪. নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকতে হবে।
৫. টিমওয়ার্ক বা সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করার মত মানসিকতা থাকতে হবে।
পার্টটাইম জবের উপকারীতা:
১. পরিশ্রমী হওয়া যায়।
২. সময়ানুবর্তিতা শেখা যায়।
৩. উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজের এবং পরিবারের খরচ মেটানো যায়। নিজের খরচে নিজে পড়াশোনা করা যায়।
৪. সাবলম্বী বা স্বনির্ভর হওয়া যায়।
৫. ধৈর্যশীল হওয়া যায়।
৬. নতুন কিছু শেখা যায়।
৭. অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়
৮. সিভি আরো স্ট্রং হয়।
৯. নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি পায়।
পরিশেষে, স্টুডেন্ট হিসেবে যদি সুযোগ থাকে তবে আমাদের সবারই পার্টটাইম জব করা উচিত।