ব্যাচেলর নাকি মাস্টার্স? কোন ডিগ্রিটি বিদেশ থেকে নেওয়া বেশি ভালো?

  • Post comments:0 Comments

বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার স্বপ্নটা আমাদের জন্য  যতটা মধুর, বিদেশে যাওয়ার পর আমাদের জীবনটা ততটা সুন্দর নাও হতে পারে। কেননা নিজের দেশ, নিজের জন্মভূমিকে ছেড়ে,  পরিবার-পরিজন ছেড়ে অচেনা মানুষদের ভীড়ে আমরা যখন থাকি তখন জীবনে বেঁচে থাকাটা অনেক কঠিনও হতে পারে। আমাদের দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দিয়েও যদি বিবেচনা করি, আমাদের দেশে আমরা পুরোপুরি স্বনির্ভর হয়ে উঠি খুবই অল্পসংখ্যক মানুষ। সেখানে বিদেশের সকলেই স্বনির্ভর।  তাছাড়া অনেকেই ইংরেজিতে ভালো কমিউনিকেশন করতে না পেরে কিংবা বিদেশে যেহেতু পড়াশোনার ভিন্ন রকম একটা প্যাটার্ণ থাকে অনেকেই শুরুর দিকে পড়াশোনাটা বুঝতে পারেন না, এতে প্রথম দিকে অনেক স্টুডেন্টদেরই ইয়ার লস হয়। আবার অনেক মেধাবী স্টুডেন্টদেরও সিলেবাস এবং কারিকুলাম বুঝে উঠতে উঠতে কয়েকবছর পার হয়ে যায়। তাই, বিদেশের জীবনটা অনেকের জন্য খুবই কঠিনভাবে কাটে।

 

এজন্য আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি করার জন্য বেশিরভাগ স্টুডেন্টদেরকে সাজেস্ট করা হয়। কেননা, ব্যাচেলর প্রোগ্রামগুলো চার বছর মেয়াদি হয়ে থাকে এবং বিদেশের ব্যাচেলর কোর্সগুলো বাংলাদেশের থেকেও খরচ অনেকগুণে বেশি হয়। তাছাড়া চারবছরের মত লম্বা সময়ে বাহিরের দেশে একজন স্টুডেন্ট কতটুকু সার্ভাইভ করতে পারবে এটাও একটা প্রশ্ন থেকে থাকে।

সেজন্য যারা মোটামুটি মধ্যবিত্ত পরিবারের তাদের ক্ষেত্রে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রিটা বিদেশ থেকে গ্রহণ করা ভালো।

 

তবে, আপনি যদি উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে থাকেন, এবং আপনার পরিবার যদি আপনার পড়াশোনার খরচ প্রদান করতে পারেন তাহলে আপনি ব্যাচেলর সহ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরবর্তী ডিগ্রিগুলো ভালো কোনো দেশের ভালো র্যাংকিং আছে এমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করতে পারেন। তবে, ব্যাচেলর প্রোগ্রামের স্টুডেন্টরা মাস্টার্স অথবা পিএইচডি প্রোগ্রামের স্টুডেন্টদের থেকে অনেক বেশি সুযোগ -সুবিধাও পেয়ে থাকেন।

এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত এখন আপনাদের

Leave a Reply